তিতাস গ্যাস কর্তৃক অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিতকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে ২০২৫ সালের ১৪ জুলাই (সোমবার), বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমানের নেতৃত্বে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগের রূপগঞ্জ শাখার অধীনে আতলাসপুর, রূপগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকার দুটি স্পটে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গ্যাস বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৫৫০টি বাড়ির ১,০০০টি আবাসিক ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ২ ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৮০ ফুট গ্যাস পাইপ অপসারণ ও জব্দ করা হয়। একই দিনে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিজা খাতুনের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাসের সাভার শাখার আওতাধীন বলিয়ারপুর, হেমায়েতপুর, ঋষিপাড়া, বাগবাড়ি, তেঁতুলঝোড়া ও সাভার এলাকার তিনটি পয়েন্টে অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কে এস ফ্যাশন এন্ড ওয়াশিং প্ল্যান্ট, মেসার্স লেটেস্ট ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহক রেজাউল ইসলামের (গ্রাহক সংকেত নং: ১৩৮-৪৩০৫৫) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাদের মোট তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ব্যাসের ৪৮০ ফুট লাইনের পাইপ অপসারণ ও জব্দ করা হয়। এই কর্মকাণ্ডের ফলে মাসিক ২০,৭০,৭৬৯ টাকা পরিমাণ গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানের অংশ হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট চার লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও, তিতাস গ্যাসের জোবিঅ টাঙ্গাইল শাখার বিশেষ অভিযানে আকুর টাকুর পাড়া ও বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল এলাকার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের কারণে ১১টি রাইজারের ৩১টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বাতিল করা হয়। এই অভিযানগুলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধ এবং নিরাপদ ও সুষ্ঠু গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সময়োপযোগী এবং ফলপ্রসূ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ উদ্বেগের সাথে জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে অবৈধ কাজ প্রতিহত করা হবে।
