রূপান্তরিত সংবাদ: রাজধানীর বনানী থানার অস্ত্র আইনের মামলায় গত দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদন নিষ্পত্তির পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামান আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, ৭ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। সেই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুসারে, স্থগিতকৃত লাইসেন্সধারী সকল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদ জমা না দেওয়া হয়, তবে তা অবৈধ হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
তবে আনিসুল হক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বনানী থানায় বা অন্য কোনো থানায় নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে তার আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানাকেও অবহিত করেননি। তার লাইসেন্সে উল্লেখিত ঠিকানায় গিয়ে বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি।
বনানী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলালের দায়ের করা অস্ত্র আইনের ১৯(১) ধারা অনুসারে ২৪ মে আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত থাকা অবস্থায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
