জাতীয় ফুটবল দলে বর্তমানে বেশ কয়েকজন প্রবাসী খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলছেন। তাদের অন্তর্ভুক্তিতে দলের খেলার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। এই কারণেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আগামী আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিশেষভাবে ইউরোপীয় কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ নেপালের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাফুফে সোমবার (৭ জুলাই) জানিয়েছে, ৬ এবং ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে এই দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাফুফে সূত্রের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাই নেপালের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজনে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ এই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে এবং এরপর হংকংয়ের বিপক্ষে খেলায় নামবে।
অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখনো বাকি রয়েছে চারটি ম্যাচ। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে এবং নভেম্বর মাসে ভারতের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচগুলো শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আগামী বছর শেষ ম্যাচ খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করে ভালো শুরু করেছিল, তবে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে পরাজিত হওয়ার কারণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। বাকি সকল ম্যাচ জিততে পারলেই বাংলাদেশ ২০২৭ সালের সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের টিকিটের সুযোগ পাবে। তাই প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বের সাথে খেলতে হবে জাতীয় দলকে।