জাতীয় ফুটবল দলে বর্তমানে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন, যারা ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তাদের অন্তর্ভুক্তির ফলে দলের খেলার মান অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এই উন্নতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আন্তর্জাতিক ম্যাচ উইন্ডোতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিল। বিশেষ করে ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচের সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় কোনো দেশের সাড়া না পাওয়ায় বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার নেপালের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতেই হচ্ছে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এগুলো ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া না পাওয়ায় নেপাল রাজি হওয়ায় এই প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই প্রীতি ম্যাচগুলো শেষে বাংলাদেশ দল হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে। বর্তমানে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারত ও সিঙ্গাপুর দুই দল ইতোমধ্যে দুইটি করে матч শেষ করেছে, এখনও বাকি চারটি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। আগামী অক্টোবর মাসে হংকংয়ের বিপক্ষে এবং নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচগুলো খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া আগামী বছর শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মুখোমুখি হবে দলটি।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করার মাধ্যমে আশা জাগিয়েছিল, কিন্তু ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে পরাজিত হওয়ায় বিদায়ের আশঙ্কা বাড়ছে। বাকি ম্যাচগুলোতে অবশ্য জয় লাভ করলে বাংলাদেশের ২০২৭ সালের সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপ খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকবে। এই মুহূর্তে প্রতিটি ম্যাচই দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফুটবলপ্রেমীরা এক ঝলকের ভালো ফলাফলের আশায় অপেক্ষা করছেন।