কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ যুক্তিভিত্তিক মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, এর পরে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা উপাচার্যকের কার্যালয়ে গিয়ে তিন দফার স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম হলো, পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতিকে অবিলম্বে বাতিল করা, ঢাকাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নীতিমালার সঙ্গে একযোগে ইবির নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করা, বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতিকে বাতিল করে নতুন নিয়ম চালু করা, এবং এম.ফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহসভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ আরও muitos।
মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গালিব বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.ফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ভর্তির জন্য নির্ধারিত মূল যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.৫০। যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তে ৩.০০ কিংবা বিশেষ ক্ষেত্রে ২.৫০ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু, ইবির নীতিমালায় উল্লেখিত স্বৈরাচার প্রশাসনের ড্রাফট অনুযায়ী এই নিয়ম চালু হয়েছে, যা অনেক গবেষণা আগ্রহী শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিবন্ধক। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই নীল নকশা পছন্দ নয়, বরং নতুন ও বৈধ নীতি প্রণয়ন দরকার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ মন্তব্য করেন, আমরা গবেষণাকে ক্ষতি করতে চাই না। যেহেতু এটি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়, আমরা মানসম্মত গবেষণা উপযুক্তভাবে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি তৈরি করছে।