এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইতেই বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দল দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের হাসি লুটেছে। এই জয়ের নায়ক হয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা, যিনি দুই দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে ফিফা র্যাংকিংয়ে শতধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারাতে সদস্য ভূমিকা রেখেছেন।
ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ঋতুপর্ণা ব্যাং গোলটি করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। পরে ম্যাচের ৭১ মিনিটে তাঁর অনবদ্য এক শটে দূর থেকে পাঠানো বল প্রবল বাঁক নিয়ে মিয়ানমারের জালে গড়িয়ে যায়, যা বাংলাদেশের জয় দ্বিগুণ করে দেয়। যদিও মিয়ানমার শেষ মুহূর্তে একটি গোল শোধ করেছিল, তাতে বাংলাদেশের জয়কে আটকানো সম্ভব হয়নি। এই জয় বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
ঢাকাবাসী দলের কোচ পিটার বাটলারের দলের সামনে এখন ৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচে হার না মানলেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের যাত্রা নিশ্চিত হবে।
মিয়ানমারের আত্মবিশ্বাসী ঘরের মাঠের পরিবেশের মধ্যে প্রথম মিনিট থেকেই সমর্থকদের গর্জন শোনা গেলেও বাংলাদেশি মেয়েরা তা বিচলিত হয়নি। তাদের দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়ে ১৮ মিনিটে ঋতুপর্ণার গোলে স্টেডিয়াম নীরব হয়ে যায়। বিরতির আগ পর্যন্ত মিয়ানমার সমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী ছিল এবং বিরতির পরও ঋতুপর্ণার দারুণ শটে স্বাগতিকরা অবশ হয়ে পড়ে।
খেলা শুরুতে মিয়ানমার আক্রমণে কিছু সুযোগ পেয়েছিলো, তবে বাংলাদেশের গোলকিপার রুপনা চাকমা তাঁদের আক্রমণ থামাতে সফল হয়েছিলেন। ১৮ মিনিটে ড্রিবল করে ডি-বক্সে ঢোকার পর ফ্রি-কিক পেয়ে ঋতুপর্ণা বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন।
এর পরও মিয়ানমার আক্রমণে ছিল এবং তারা গোলের ঝুঁকি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলো, তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ বেশ সজাগ থেকে বল প্রতিহত করছিল। খেলার ৭১ মিনিটে ঋতুপর্ণা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দুর্দান্ত গোল করেন, যা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত করে। মিয়ানমারের উইন উইন ৮৯ মিনিটে একটি গোল করে স্কোর ২-১ করেন, কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে নি।
এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে এবং তারা আরও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে আগামী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। এশিয়ান কাপের দিকে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই এখন আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।