বাঙালি মুক্তি সংগ্রামের নানা অধ্যায়ে সাহস ও আশা জোগানো কবি আল মাহমুদের আজ ৯০তম জন্মদিন। তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বিপ্লবী পথচলায় তার কবিতার মাধ্যমে মুক্তিকামী জনমানুষের মনোভাব ও চেতনা উজ্জীবিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, প্রকৃতি ও প্রার্থনার মাধ্যমে কবি আল মাহমুদ ছিলেন সবুজের কবি বলে পরিচিত।
১৯৩৬ সালের আজকের দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার মৌরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের সাহিত্য জীবনে ষোল কুদরত পার করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট কবি।
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে ঘণ্টা ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে কবিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ ও তাঁর কবিতার আবৃত্তির আয়োজন, যেখানে শিল্প-সাহিত্যের নানা বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদে আজ সকালেই “আমাদের আল মাহমুদ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে কবিতা চর্চা, স্মৃতিচারণ এবং সাহিত্য আড্ডার আয়োজন।
অপরদিকে, কবির জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবি জানিয়েছেন কবি ভক্ত ও সাহিত্যিকরা। তাদের বক্তব্য, অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের সময় আল মাহমুদকে অবহেলা করা হয়েছিল, অথচ তাঁর কবিতা ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনে অনুপ্রেরণার প্রবল উৎস ছিল। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ফসলি জমিনে তিনি কবিতার এক জাদুকরী চিত্র অঙ্কন করেছেন। তাই জুলাই বিপ্লবের স্মরণোৎসবসহ তার প্রতি রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা প্রদানের দাবি তুলছেন অনেকেই।
ভক্ত ও সাহিত্যসংঘগুলি অবিলম্বে কবি আল মাহমুদের লেখনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সাহিত্য গবেষণার জন্য একটি আল মাহমুদ ইনস্টিটিউট গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এই উদ্যোগ বাংলার সাহিত্যজগতের জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।