ঢাকা | রবিবার | ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি বিল্লাল হোসেন জেলহাজতে

চাঁদপুরে মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুর রহমান মাদানীর ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি বিল্লাল হোসেনকে আদালত জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ‘রাসূল (সা.) বার্তা বাহক’ এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হওয়া এই হামলার ঘটনায় শুক্রবার (১১ জুলাই) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন খতিবের ছেলে আফনান তাকি।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ অভিযুক্ত বিল্লালকে আদালতে হাজির করে। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন এই ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়দের কথায়, শুক্রবার বাদ জুমা মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে খুতবা ও আলোচনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন পূর্বপরিকল্পিতভাবে মসজিদের ভেতরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালান। এতে খতিবের কান ও মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। সঙ্গে Muslimsরা দ্রুত তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।

এই সময় হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত বিল্লাল সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহর খাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে এবং বর্তমানে চাঁদপুর শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন।

ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খতিবের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লেও, আহত খতিবের ছেলে আফনান তাকি জানিয়েছেন, তার বাবা প্রথমে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হলি কেয়ার হাসপাতালেরত আছেন, যেখানে তার শারীরিক অবস্থা সংকটমুক্ত আছে।

এই ধরনের সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে শহরে শান্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বিকেল ৩টায় জেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া বিকেল ৫টায় জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখা রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

চাঁদপুরে এ ঘটনায় সবাইকে শান্তি রক্ষা ও আইনের প্রতি সম্মান প্রদানের কথা পুনরায় মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।