ঢাকা | রবিবার | ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো খণ্ডকালীন উদ্বেগ নেই: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কোনো শঙ্কার কারণ নেই। তিনি বলেন, ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা চায়, এবং সেই স্থিতিশীলতা রক্ষায় সবাই অবদান রাখতে আগ্রহী।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এই সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সম্ভাব্য শঙ্কা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘কোনো শঙ্কার জায়গা নেই। অতীতের নির্বাচন থেকে দেখা গেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন তখনই সফল হয়েছে যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সুদৃঢ় স্থিতিশীলতার প্রতি আগ্রহী তাই আমরা নিশ্চিত করব দেশের পরিস্থিতি শান্তিশীল থাকবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবন এতটাই জটিল যে, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাইরে রাখলেও ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চান।’ সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময়ই দেশের সংস্কারের অন্যতম প্রধান চালক। আমাদের ভিশন ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করি।’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আলোচনা হবে। বাংলাদেশের মানুষ গত তিন-চার নির্বাচনে ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি। নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে বয়স ৩০-এর আশেপাশে যারা, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ অনেক কম হয়েছে। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি আগামী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অত্যন্ত উঁচু হবে। পুরুষ, মহিলা, সব বয়সী ভোটাররা উৎসাহের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং একটি সুফলপ্রদ নির্বাচন হবে যা গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক হবে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দেশের নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন কমিশনকে বড় ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।’

এই সব বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, আগামী নির্বাচনকে সফল ও স্বচ্ছ করতে সকল পক্ষই দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।