ঢাকা | শুক্রবার | ১লা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

জুন মাসে ৩২৪টি ভুয়া তথ্য চিহ্নিত, রাজনৈতিক বিভ্রান্তিই বেশি: সিজিএস

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিস্তার উদ্বেগজনক

হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

সংস্থাটির ‘মিসইনরমেশন ও ডিসইনফরমেশন’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে মোট

৩২৪টি বিভ্রান্তিকর বা ভুয়া তথ্য চিহ্নিত হয়েছে, যার মধ্যে ২৫৩টিই ছিল রাজনৈতিক

প্রেক্ষাপটের তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব তথ্যের বড় অংশই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, থ্রেডস ও টুইটার মিলে ৩১৬টি ভুয়া তথ্যের উৎস হিসেবে

চিহ্নিত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিভ্রান্তির মধ্যে একটি আলোচিত উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি ডিজিটালি এডিট করা ফটোকার্ড ছড়ানো হয়,

যাতে বলা হয় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে রাজি নন। পরে এটি ‘রিউমর

স্ক্যানার’ ভুয়া বলে শনাক্ত করেছে।

রাজনৈতিক বিষয় ছাড়াও বিনোদন (২৪টি), ধর্মীয় (১৯), অনলাইন প্রতারণা (১৮), কূটনৈতিক

(৫), অর্থনীতি (৪) ও পরিবেশ (১টি) সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য শনাক্ত করা হয়।

ভুয়া তথ্যের ক্ষেত্রে ১২৪টি ঘটনায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে প্রচারণা চালানো

হয়েছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (৪৮), সেলিব্রিটি (২৫), ধর্ম (১৬),

রাজনৈতিক দল (১৩), সরকারি প্রতিষ্ঠান (১৬), অন্তর্বর্তী সরকার (৬), বেসরকারি

প্রতিষ্ঠান (২) ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব (১) ভুয়া তথ্যের শিকার হয়েছেন।

তবে প্রতিবেদনে ৭৩টি ঘটনা ‘অস্পষ্ট’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে,

যেগুলোর মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যবস্তু পাওয়া যায়নি।

সিজিএস জানায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে সংস্থাটি বিভ্রান্তিকর তথ্য পর্যবেক্ষণ শুরু

করে এবং www.factcheckinghub.com নামে দেশের একমাত্র অপতথ্যভিত্তিক ডেটাবেইস

পরিচালনা করছে।

প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা,

প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সমন্বয় এবং গণমাধ্যম-সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করা জরুরি।

সরকার, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজ—সব মহলের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের

বিস্তার বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’