ঢাকা | শুক্রবার | ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

জুলাই পুনর্জাগরণ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনী শুরু

জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি

প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৩টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জুলাই

পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা এবং ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে। আজকের

এই আয়োজন আমাদের জুলাইয়ের চেতনা ও ঘটনাবলী স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের এগিয়ে যাবার

অনুপ্রেরণা যোগায়।

তিনি বলেন, এই গ্রাফিতি ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়;

এর পেছনে রয়েছে একটি স্পষ্ট বার্তা। আমরা চাই না, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম একটি

গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই জুলাই আন্দোলনের ঘটনাবলী জাতীয় স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাক।

আমরা চাই না, সেই ত্যাগ, সেই সাহস, আর সেই সময়ের সত্য ও ঘটনাবলী ভুলে যাক আমাদের

আগামী প্রজন্ম। এ আয়োজন তারই এক ক্ষুদ্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস- যার মাধ্যমে

আমরা চাই মানুষ দেখুক, ভাবুক, প্রশ্ন করুক, এবং মনে রাখুক। আমাদের এই আয়োজনে যুক্ত

হবার জন্যে আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা সকলেই জানি, জুলাই আন্দোলন সময়ের ব্যবধানে এক সার্বজনীন

গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছিল- একটা সময় প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ, সরাসরি বা

পরোক্ষভাবে, ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন।

এটা ছিল একটা নৈতিক আন্দোলন- যা কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সাম্য,

ন্যায়, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথযাত্রায় এটি এক অনন্য অধ্যায়।

তিনি বলেন, এসব স্মৃতি ধরে রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই প্রদর্শনী সেই প্রচেষ্টারই

অংশ। আমরা চেয়েছি এমন কিছু দৃশ্যমান করে তুলতে, যা মানুষকে ভাবাবে, যা মানুষের মনে

গেঁথে থাকবে।

উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ভবিষ্যতে যারা এই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন, তাদের

জন্য এই ইতিহাস একটি দর্পণ হয়ে থাকবে। যেন তারা বোঝেন, ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য

কী ছিল, কে কোথায় দাঁড়িয়েছিল, কারা সত্যের পক্ষে কথা বলেছিল, আর শেষ পর্যন্ত কে

কতটুকু মূল্য দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা অতীতকে মনে রাখতে চাই দুঃখ নিয়ে নয়, গর্ব নিয়ে। এই গর্ব শুধু ভাষণ

বা স্মরণে নয়, বরং প্রাত্যহিক চিন্তায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে ও দায়িত্ববোধে প্রতিফলিত হোক-

এটাই আমাদের প্রত্যাশা। জুলাই পুনর্জাগরণ যেন আমাদের সবসময়ই জাগ্রত রাখে।