ঢাকা | শনিবার | ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

দুই মাস পর ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি টাকা

দুই মাসের অস্থিরতা ও ধস কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের আর্থিক বাজারে টানা উত্থান-পতনের পর এখন ধাপে ধাপে স্থিতিশীলতা ফিরছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে বাজারে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

৭ মে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার আশেপাশে হলেও এরপর লেনদেন কিছু কমে এসে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গত পাঁচ কার্যদিবস ধরে ৪০০ কোটি টাকার উপরে লেনদেন হচ্ছে এবং শেষ কার্যদিবসে তা ৫০৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস-৩০-এ ১৮ পয়েন্টের উন্নতি হয়েছে, যদিও শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কিছুটা নেতিবাচক রূপ তুলে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও, ১৮১ কোম্পানির দাম কমেছে এবং ৬২ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষভাবে লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানিগুলোসহ এসব ক্যাটাগরির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগের।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মূল্য ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে শীর্ষে রয়েছে।

দামের বিচারে রূপালি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য ৯.৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে, আর ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ৯ শতাংশ দর হৃদয়ে পতিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যেখানে সর্বমোট ৯৯ পয়েন্ট বেড়েছে সূচক। লেনদেনের মধ্যে ২০৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিয়ে গড়লে ১১৮ কোম্পানির দাম বাড়ার বিপরীতে ৫৯ কোম্পানির দাম কমে গেছে এবং ২৮ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে মোট ২১ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় অনেক বেশি। মালেক স্পিনিং মিলস ১০ শতাংশ মূল্যের বাড়তি নিয়ে শীর্ষে থাকায় মার্কেটে উৎসাহ দেখানো যাচ্ছে, যদিও এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক ৯ শতাংশ দর কমে সর্বনিম্ন তলানিতে রয়েছে।

সার্বিকভাবে, দুই মাস পর পুঁজিবাজারে লেনদেনের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ও সূচকের উন্নতি আর্থিক বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যমে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগ 환경 আরও সুদৃঢ় হবে।