ঢাকা | সোমবার | ২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো শঙ্কার কারণ নেই: আমীর খসরু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তিনি জানিয়েছেন, ভোটার এবং সব রাজনৈতিক দলই চান নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং সেই সাফল্য সবাই ভাগাভাগি করতে চায়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। এই সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে রোডম্যাপ ও শঙ্কার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতবারই নির্বাচন হয়েছে, সেটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আশংকার কথা নেই। রাজনৈতিক দলের সবাইই দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগ্রহী।” তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এমন যে, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে ভোটার এবং সব রাজনৈতিক দল চায় একটি স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকুক।”

সংস্কারের বিষয়টি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “বিএনপি সবসময় থেকেই সংস্কারের পক্ষপাতী। বাংলাদেশের সব বড় সংস্কারের উদ্যোগ বিএনপি থেকেই উঠে এসেছে। এবারও আমাদের ভিশন ৩১ দফা জনগণের কাছে নিয়ে গিয়ে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই।”

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিগত তিন-চার নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম, যারা প্রায় ৩০ বছর বয়সী, তারা এখনও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। তাই সবাই আশাবাদী যে আগামী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে। পুরুষ-নারী, সব বয়সের ভোটার উৎসাহ এবং আগ্রহের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি সরকার গঠন হবে, যা গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় করবে।”

অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার বিষয়ে তিনি জানান, “অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্নরকম সহায়তা প্রদান করবে।”