ঢাকা | রবিবার | ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচনের তফসিলের পর আসন বণ্টন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তফসিল ঘোষণার পরই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, এই মুহূর্তে আসন বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনার পর্যায়ে তারা পৌঁছায়নি। তফসিল ঘোষণার পরে এবং নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হলে এ নিয়ে আলোচনা কার্যক্রম শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির যোগাযোগ কমিটি ও গণ অধিকার পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেই আসন বণ্টনের ইস্যুটি চূড়ান্ত করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর সমমনা সব দলের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে খসরু আরও জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবারের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার সংবাদ উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডাসহ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। আন্দোলনের সময় যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, সেভাবেই ভবিষ্যতে নির্বাচনে, সরকার গঠনে ও সংস্কার বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতারা।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক নিয়ে খসরু বলেন, নির্বাচনী সংস্কারগুলি সেই বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে কাজ করবে যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো একমত, এবং পার্থক্য থাকা বিষয়গুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি গুরুত্ব দেন যে প্রতিটি দলের নিজস্ব দর্শন ও লক্ষ্য রয়েছে, তাই সবার সঙ্গে সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপি অপেক্ষা করছে বলে জানান খসরু। তিনি বলেন, ‘‘বিচার বিভাগ স্পষ্টভাবে ইশরাকের ডিসিসি মেয়র হওয়ার কথা বলেছে, নির্বাচন কমিশনও অনুমোদন দিয়েছে। আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে তার শপথ নেওয়া উচিত।’’

খসরু আরও বলেন, বিএনপি ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস রাখে এবং তারা আশা করে, সরকার আইনের আওতায় বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এখন তারা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।