বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করে এবং সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন না করে কোনো প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি জানান, সংস্কার কোনো রাতারাতির ঘটনা নয়, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যারা মনে করেন, কয়েকটি বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কার সম্ভব, তাদের সেই ধারনাকে তিনি এলোমেলোভাবে উড়িয়ে দেন।
ফখরুল বলেন, “সরকার যদি ভাবতে থাকে যে কাল থেকে পুলিশে ঘুষের প্রথা বন্ধ হয়ে যাবে, তাহলে সেটা সম্ভব নয়। এর জন্য একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে যা ঘুষ নেওয়ার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করবে।” তিনি জানান, এই সংস্কার কার্যক্রমে সকলের সমন্বয় থাকা জরুরি এবং এতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
এদিকে, তিনি বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দেশের উন্নয়নে বড় ব্যাধি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “আমাদের আমলাতন্ত্র দুষ্প্রযুক্ত এবং এটি পুরোদস্তুর পরিবর্তন করে একটি ইতিবাচক কাঠামোয় রূপান্তর করতে হবে। সেই পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হতে হবে জনগণ।”
নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান নিয়ে সমালোচনার জবাবে ফখরুল বলেন, “আমরা নির্বাচনের দাবি করার পরপরই বলা হয় বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই? নির্বাচন ছাড়া সঠিক ও প্রকৃত প্রতিনিধিদের সংসদে আনা সম্ভব নয়, আর সংসদের মাধ্যমে জনগণের শাসনই প্রতিষ্ঠিত হয়।”
তিনি আরও জানান, দেশের শাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম সরকারীভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া আবশ্যক, অন্যথায় এটি বাস্তবায়ন অসম্ভব। ফখরুলের এই আলোচনাটি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল।