ঢাকা | মঙ্গলবার | ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দেখতে চায় বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।

ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়ে সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিলে বাকি এক ম্যাচ থেকে সিরিজ জিততে সক্ষম হবে টাইগাররা।

আগামীকালের ম্যাচে জয় পেলে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করবে। সম্প্রতি শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করার কৃতিত্বের পর এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি হবে আরেক সাফল্য।

গত মে মাসে পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তাই ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে জাগিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের ঝড়ো বোলিংয়ে মাত্র ১৯.৩ ওভারেই পাকিস্তানকে ১১০ রানে অলআউট করে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ছিল প্রথমবার বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অলআউট করার নজির। তাসকিন ২২ রানে ৩ উইকেট নেন, আর মুস্তাফিজ ৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। জবাবে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩৯ বলে অসামান্য ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যা নিয়ে ২৭ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

মিরপুরের উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটাররা আদতে বেশ সমস্যায় পড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা স্বাধীন ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করেছেন, বিশেষ করে ওপেনার পারভেজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ ম্যাচে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ জয়।

মিরপুরের ভেন্যুতেই বাংলাদেশের তিনটি জয়ই এসেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তাই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মিরপুরে হওয়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বিশেষভাবে চোখে পড়ছে।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘আমরা মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ভালো জানি, যা ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ নয়। প্রথম ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিকল্পনা নিয়ে খেলব।’ তিনি আরও জানান, জয়ের জন্য প্রথম ম্যাচের একাদশ বজায় রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

অপরদিকে সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া পাকিস্তানের কোনো বিকল্প নেই। প্রধান কোচ মাইক হেসন বলেছেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম, কিন্তু উইকেটের ক্ষেত্রে ভুল ধারণা ছিল। আমরা কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নাজুক সময়েই ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেছি, যা চ্যালেঞ্জিং ছিল।’

বাংলাদেশ দল: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

পাকিস্তান দল: সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, আহমেদ দানিয়াল, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হাসান নাওয়াজ, হুসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, সালমান মির্জা, সুফিয়ান মুকিম।