ঢাকা | বুধবার | ২৩শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

বেনাপোলে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাক চালক আটক

যশোরের বেনাপোল বন্দরে পুলিশ এক ভারতীয় ট্রাক চালককে আটক করেছে, যার কাছ থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই পাসপোর্টগুলো দালালদের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছিল এবং সেখানে গত ২৪ জুন সার্বিয়ার ভিসা দেওয়া হয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভারতীয় ট্রাক চালক বেচারাম পরামানিকের মাধ্যমে পাসপোর্টগুলো বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্ব পালনরত আনসার সদস্যরা পাসপোর্টসহ বেচারামকে আটক করে।

বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা খবর পেয়ে সতর্ক ছিলেন যে অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে অসংখ্য পাসপোর্ট পাচার হচ্ছে। ওই রাতে বেচারাম একটি ব্যাগ নিয়ে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করলে ২০টি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

পাসপোর্ট জব্দের খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি অনুসন্ধান করেন। তারা খুঁজতে থাকেন কি এই পাসপোর্টগুলো ব্যবহার করে কেউ ইউরোপের কোনও দেশে পালানোর চেষ্টা করছে কি না।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া জানান, ইউরোপের বেশ কিছু দেশের ভিসা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পাওয়া যায় না, তাই অনেকেই ভারতে পাসপোর্ট পাঠিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভিসা করিয়ে নিয়ে আসছেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, আটকের পাসপোর্টগুলোর মালিকরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার আবেদনের জন্য ভিসা করিয়েছেন। তিনি জানান, পাসপোর্ট অন্যের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে ভিসা করানো একটি বেআইনী কাজ, তাই এ বিষয়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।

আটক হওয়া ২০টি পাসপোর্টের মালিকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভীর হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুচের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম, নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়া, চাঁদপুরের মনোহর গাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালীর রফিউল্লাহর ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক এবং সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ুন কবীর।