ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার ঘটনা সামনে আসে, যেখানে অভিযোগ উঠেছে যে অভিযুক্তরা চাঁদার দাবিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে তাকে ধর্ষণ করে। প্রধান আসামি যুবদল কর্মী মো. আলাউদ্দিনকে এবং আরেকজন সহযোগী শ্রমিক দল নেতা মো. ফরিদ উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই দুইজন ১ ও ২ নম্বর আসামি হিসেবে মামলায় যুক্ত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গভীর রাতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া থেকে আলাউদ্দিনকে এবং ভোলার বোরহানউদ্দিন থেকে ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে র্যাব ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগীর সতীনকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। এভাবে মামলার সাত আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহব্বত খান জানান, অভিযানের মাধ্যমে প্রধান আসামি ও সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এছাড়া, বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভোলার পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক ভুক্তভোগী পরিবারকে বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন এবং বলেন, “কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এখন পর্যন্ত মামলার চার আসামিকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে কাজ চলছে।
মামলার ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়, সোমবার (৩০ জুন) রাতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুরপাড় এলাকায় অভিযুক্তরা চাঁদার দাবিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটকে মারধর করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা স্থানীয় শ্রমিক দল, ছাত্র দল ও যুবদলের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত। পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সক্রিয় রয়েছে।