ঢাকা | মঙ্গলবার | ১২ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় তিন দিনের সফরে আসছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল

ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক নেতা ও সিভিল সোসাইটির উচ্চ পর্যায়ের একটি

প্রতিনিধি দল আগামী মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে ঢাকায় তিন দিনের সফর শুরু করবে। সফরের

মূল লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংলাপ জোরদার করা।

ফ্রিডরিশ নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের (এফএনএফ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের

আয়োজনে এই সফরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিসহ আঞ্চলিক

সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এফএনএফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. কার্স্টেন ক্লেইন বলেন, “এই সফরের

উদ্দেশ্য হলো ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানির সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার গতিশীল প্রবৃদ্ধি

অঞ্চলের সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা।”

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জার্মান বুন্ডেসটাগ সদস্য সান্দ্রা ওয়েজার, বুন্ডেসটাগ

প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ড. মার্কুস ফাবার, লিবারেল ইন্টারন্যাশনালের ডয়চে

গ্রুপের সভাপতি ড. জুর্গেন মার্টেন্সসহ জার্মান রাজনীতি, অর্থনীতি ও সিভিল সোসাইটির

অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

ঢাকায় অবস্থানকালে তারা বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং নেটজ

বাংলাদেশ, গ্যোথে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বিমস্টেক সচিবালয় ও বাংলাদেশ-জার্মান

চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।

সফরের অংশ হিসেবে তারা সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবেন, যেখানে

শ্রম অধিকার, শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খল এবং দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা

নেবেন।

এছাড়া তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নীতি সংস্কার নিয়ে খ্যাতনামা

অর্থনৈতিক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন।

দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ

আঞ্চলিক সংযোগ ও বঙ্গোপসাগর নিরাপত্তায় একটি কৌশলগত কেন্দ্র। বিমস্টেকসহ বিভিন্ন

সংস্থার আতিথেয়তা প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক

সম্পৃক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষ শ্রমিক অভিবাসন ও বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক

উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত।

এফএনএফ নিয়মিত এই ধরনের স্টাডি ট্যুর আয়োজন করে, যার লক্ষ্য উদার গণতান্ত্রিক

মূল্যবোধ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

দক্ষিণ এশিয়া প্রায় দুইশ’ কোটি মানুষের আবাসস্থল হওয়ায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক

ক্ষেত্রে ইউরোপের জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।