ঢাকা | শুক্রবার | ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

যুবদলের নেতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়ানোর বিরুদ্ধে বিএনপির তীব্র প্রতিবাদ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মজনুকে নিয়ে একটি অবৈধ টাকা লেনদেন সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা অভিযোগে টবগী ইউনিয়ন যুবদল আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, গত ৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এ উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বিএনপি ও যুবদলের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার জন্য বিদ্বেষপূ্র্ণ একটি মহল ওই ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওটি টবগী ইউনিয়ন যুবদলের নজরে আসার পর অভিযোগকারী মনিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তাকে না পাওয়ায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ভিডিওটির অভিযোগের সঙ্গে কোনও সত্যতা খুঁজে পায়নি।

আজ (১৫ জুলাই) দুপুর ১টায় টবগী ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহসভাপতি খোকন হাওলাদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি ও টবগী ইউনিয়ন যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, সেটি পরিস্কারভাবে ধ্বংস করার জন্য দল সক্রিয়। কিছু মহল টবগী ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে যুবদলের সভাপতিকে টার্গেট করেছে।

খোকন হাওলাদার আরও জানান, মনির ও তার পরিবারের সদস্যরা টবগী ইউনিয়নের নিয়মিত ভোটার নন; তারা ৫ই আগষ্টের পূর্বে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তারা এখানে আত্মগোপন করেছেন। মনির নেশাগ্রস্ত এবং বখাটে চরিত্রের একজন ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। মনিরের বাড়িতে পুলিশ চোরাই মোবাইল উদ্ধারকালে তাকে আটক করতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা সেই সময়ের ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিওকে ইরক্মতভাবে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যেন যুবদল সভাপতি মজনু তার উপর হামলা করেছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতি ভিডিওয়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, যা দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি বিদেশ থেকে মিথ্যা ভিডিও ছড়াচ্ছে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবি এম ইব্রাহিম খলিল একটি ভিডিও যাচাই-বাছাই না করেই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে যুবদল সভাপতিকে অভিযুক্ত করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বিষয়। এই ঘটনার জন্য তারা গভীর রকমের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শেষে তিনি উল্লেখ করেন, দলের কেউ যেকোনো অপকর্মে জড়িয়ে পড়লে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে। ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতেও এই কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।