ঢাকা | বুধবার | ২৩শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সরকারি বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজ ভাঙা কারখানায় দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান

সীতাকুণ্ডের সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত জাহাজ ভাঙা কারখানা কোহিনূর স্টিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো শুরু হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান শুরু করে। এর আগেও গত ২৫ জুন প্রথম দফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে কারখানার স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। বর্তমানে কারখানা এলাকায় অবশিষ্ট থাকা স্থাপনা এবং ভবনের কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

সাতাড়াতলা এলাকার পাশাপাশি, সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর মৌজার তুলাতলী এলাকায় বন বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি হাজার গাছ রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি পরিবেশের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হচ্ছে।”

জানা গেছে, বন বিভাগের ২০ ধারায় নোটিফাই করা ওই বনাঞ্চল মামলা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশমতো ইজারা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন বনভূমিতে অবৈধভাবে শিপইয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনই দুইবার বনভূমি ইজারা দেয়ার দায় বৃন্দ বহন করে। পরে নানা প্রতিবেদন এবং আইনি চাপে ২০২৩ সালে ওই ইজারা বাতিল করা হয়। তবে মালিক আবুল কাসেম কর্তৃক ফের ইজারা পুনর্বহাল ও কারখানা জোরপূর্বক পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তৎপরতায় আবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে এবং বন বিভাগের বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে। বন কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ঝাউ, করঞ্জা, হিজলসহ বিভিন্ন স্থানীয় প্রজাতির প্রায় দুই হাজার গাছ রোপণ করা হবে, যা বায়ুমণ্ডল ও পরিবেশের জন্য উপকারী হবে।

একদিকে প্রশাসনিক জটিলতা আর অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আয়োজনগুলো একসাথে এগিয়ে চলছে। আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সীতাকুণ্ড এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং অবৈধ অবস্থানের বিরুদ্ধে কার্যকর বার্তা পৌঁছে দেবে।