কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুসারে কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় তার সরকার গভীর হতাশার শিকার হয়েছে। ট্রাম্প আগেই সতর্ক করেছিলেন, কানাডা যদি আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে বৃদ্ধি করেছেন, যদিও ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি (ইউএসএমসিএ) অনুসারে অনেক পণ্য এখনো নতুন শুল্ক হার থেকে অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এই পদক্ষেপে গভীর হতাশ। আমরা বিশ্বাস করি, এই পদক্ষেপ আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক ও অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
ট্রাম্পের আদেশে অভিযোগ করা হয়, কানাডা ‘ফেন্টানিল ও অন্যান্য নিষিদ্ধ মাদক পাচার বন্ধে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে’ এবং তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক’ মনোভাব দেখিয়েছে।
তবে ট্রুডো জানান, কানাডা ফেন্টানিল নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করছে। তিনি যোগ করেন, “মার্কিন ফেন্টানিল আমদানি মাত্র এক শতাংশই কানাডা থেকে হয়, এবং আমরা এই পরিমাণ কমানোর জন্য জোরালো কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বর্তমান চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কানাডার পণ্যের গড় শুল্ক হার সর্বনিম্ন। তবুও কাঠ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও মোটরগাড়ি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো মার্কিন শুল্ক ও ডিউটির কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় স্বরকার কর্মকর্তা হিসেবে ট্রুডো এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্পর্কের গোলযোগ দূর করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।