ঢাকা | রবিবার | ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

শাহরাস্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর-তালাবদ্ধ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি

রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালটি ভাঙচুর ও তালা লাগিয়ে দিয়েছেন মৃত রোগীর বিক্ষুব্ধ

স্বজনরা।

শনিবার(২ আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ঠাকুরবাজারের শাহরাস্তি জেনারেল

হাসপাতালে।

হাসপাতালটি তালাবদ্ধ থাকায় ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন

দুপুর পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানান যায়, গত ২৬ জুন উপজেলার পূর্ব নিজমেহার কবিরাজ বাড়ির প্রবাসী দিদার

হোসেনের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী উম্মে হাসনা রিপাকে (২৯) এ হাসপাতালে সিজার অপারেশন

করে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত

ডা. তানজিনা সুলতানা।

অপারেশন শেষে তাকে কেবিনে রাখা হয়। ৪ দিন পর ৩০ জুন ছাড়পত্র দিয়ে তাকে বাড়িতে

পাঠানো হয়। তবে বাড়িতে যাবার কিছদিন পর ব্যথা কমার পরিবর্তে ব্যথা আরও বাড়তে থাকে।

তীব্র থেকে তীব্রতর হয় ব্যথা। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের এ হাপাতালেই

ভর্তি করা হয়।

ওদিনই রাত ৯টায় কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে রেফার করা হলে জানা যায় ভুল চিকিৎসার

কারণে রোগী রিপার মুত্রথলি কেটে ফেলেছেন। কয়েকদিন পরে তাকে রিলিজ দেয়া হয়। শুরু হয়

রোগীর স্বজনদের দৌড়ঝাপ।

২৬ জুলাই ঢাকার পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রক্ত দেওয়া হয়। এরপর রিলিজ

পেয়ে তাকে ২৯ জুলাই ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় মারা যান।

শনিবার সকালে তার লাশ এম্বুল্যন্সে করে শাহরাস্তিতে আনা হলে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে

শাহরাস্তি জেনারেল হাসপাতালটিতে হামলা চালান ও ভাঙচুর করে ও তালা লাগিয়ে দেয়। ভিতরে

আটকা পড়ে যায় অন্যন্য রোগীরা ও তাদের স্বজনরা।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ভুল চিকিৎসা কেনো করল? বিষয়টি গোপন করলই বা কেন?। একারণেই

রোগীর রক্তক্ষরণ হয়েছে, রোগীকে বার বার রক্ত দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের অবহলোর কারণেই

রোগী মারা গেছেন।

আগেও এই হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন

ভুক্তভোগী আরেক জন।

এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও হাসপাতালের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে

দুপুরে আমরা পুলিশ সদস্যসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগ পেলে

তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকলিমা জাহান ইউএনবিকে বলেন, ‘এ

ব্যাপারে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া

হবে।’