বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কখনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে কোনো ধরনের বিভাজন হয় না।
গতকাল শনিবার, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জেএমসেন হলের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত ধর্ম সম্মেলন ও সাধু, সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের নিতান্তই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। সংবিধানে এতে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, তাই মুখে নয়, প্রকৃত অর্থে অসাম্প্রদায়িক হওয়া জরুরি। তবেই দেশে সহমর্মিতা বজায় থাকবে এবং হানাহানি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু শব্দটি মেনে নেন না তিনি, কারণ আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং সকলের অধিকার সুরক্ষিত করা সরকারের যথাযথ দায়িত্ব।
তিনি জানান, আমরা একটি জাতি, একটি দেশ ও একটি সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারা বারবার দেশের সুরক্ষা বিনষ্ট করেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করে। আজকের বাংলাদেশ নতুন দ্বিধাহীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছে, যেখানকার মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবি জাগ্রত হয়েছে।
আমীর খসরু বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে বিভাজনের কোনো সুযোগ নেই। সকলের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে এবং সবাই নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব আনন্দ নিয়ে পালন করবে। গণতন্ত্রের সঙ্গে এই সমন্বয় সহজেই সম্ভব। রাজনীতিবিদ এবং জনগণ হিসেবে আমাদের সহনশীলতা বজায় রেখে দেশের স্বার্থে একত্রিত হতে হবে। ধর্মীয় মতভেদ থাকবে, রাজনৈতিক মতেও পার্থক্য থাকতে পারে, তবে জনগণের কল্যাণে ঐক্য অটুট রাখতে হবে।”
শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।