ঢাকা | সোমবার | ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

শহিদ পরিবারের পাশে সরকার সর্বদা: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ জাতীয় শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের পাশে সরকারের অটুট সমর্থনের কথাটি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে এবং আমরাও তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। তিনি আরও জানান, সরকার পিপিএসসনদর প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে এবং সম্ভবত পাঁচ আগস্ট গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে কিছু ছোটখাটো মতবিরোধ আছে, তবুও ঐক্যমতের মাধ্যমে একটি শক্ত পজিশনে পৌঁছেছে যা বাংলাদেশের জন্য অন্যতম শুভ সংবাদ।

গতকাল রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ ও জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগীয় কমিশনার উল্লেখ করেন, গত বছরের জুলাই মাসে যা ঘটেছিল তা আমাদের মনে গভীরভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ঐসব স্মৃতিকে প্রাণবন্ত করেছেন। এখন আমাদের করণীয় হলো দেশকে উন্নত ও সংস্কার করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং এ কাজ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় থাকা দরকার যা সবার মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখবে। এক একটি আলাদা নামের বদলে যদি সবাই ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে পরিচিত হয়, তা এক প্ল্যাটফর্মে সবাইকে নিয়ে আসবে। যদিও প্রত্যেকের রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে, নামটা অবশ্যই মোটামুটি একসাথে থাকা উচিত বলে তাঁর মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, জুলাই আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থেকে তাদের স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং গুরুতর আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে শহিদ ও আহত পরিবারগুলি স্মৃতিকথন করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন, যা দৃশ্যপটে গভীর স্পর্শ ফেলে। এই অনুষ্ঠান মূলত দেশের ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় স্মরণ ও সম্মান জানাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে স্থান করে নেয়।