ঢাকা | রবিবার | ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে জুলাই হত্যাকাণ্ড: ২৩১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল

জুলাই বিপ্লবের এক বছরের মাথায় চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত একটি

হত্যা মামলায় ২৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই দিন আগে গুলিবর্ষণে এক দোকান কর্মচারী নিহত

হয়। চট্টগ্রামে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের প্রথম কোনো মামলায় আদালতে

অভিযোগপত্র দিল পুলিশ।

অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান

মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল

হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে ১২৮ জনকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদালতের প্রসিকিশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রসিকিউশন শাখা থেকে অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রামের মুখ্য

মহানগর হাকিম আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে

অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন।

পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব

সিএমপির চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমেদ জানান, তদন্ত শেষে

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের

বিরুদ্ধে বিচারের আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা আদালত গ্রহণ করবেন।

আসামিদের মধ্যে আরও আছেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু

রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম

দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী,

এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, পুলক খাস্তগীর, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন

এবং নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন

সহযোগী সংগঠনের ২৩১ নেতা কর্মি রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায়

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শহিদুল ইসলাম শহিদ। এ ঘটনায়

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ওই বছরের ১৫ আগস্ট ভুক্তভোগীর ভাই

শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে এক বছরের মাথায়

অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো আদালতে।